No title

আসলে স্বপ্নদোষ কি কেন হয় এবং স্বপ্নদোষ হলে কি করতে হবে আসুন জেনে নেই। সাধারণত কোন প্রকার যৌন কার্যক্রম ছাড়া যখন কারো বীর্যপাত ঘটে তখন তাকে স্বপ্নদোষ বলে। এটা প্রায় সব মানুষের হয়। প্রতিটা মানুষ নির্দিষ্ট একটা বয়স পার করার পরে স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করে। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালের থেকে স্বপ্নদোষ শুরু হয়। স্বপ্নদোষ ছেলে মেয়ে উভয়ের হতে পারে। বয়সন্ধিকালে যখন প্রথম স্বপ্নদোষ হয় তখন মনে অনেক ভয় কাজ করে। আসলে এটা ভয় পাওয়ার কোনো কারণ না। এটা প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রকৃতির একটা স্বাভাবিক নিয়ম।

স্বপ্নদোষ কি ?

স্বপ্নদোষের ইংরেজি হলো Nightmare। যখন কোনো মানুষ তার ঘুমের মধ্যে শারীরিক সঙ্গম ছাড়া বীর্যপাত ঘটার অভিজ্ঞতা লাভ করে তখন এটাকে আমরা স্বপ্নদোষ বলে থাকি। স্বপ্নদোষ আসলে কোনো রোগ না এটা আমাদের দেহের একটি স্বাভাবিক প্রকৃয়া। স্বপ্নদোষ ছেলেদের বীর্যপাত ঘটে আর মেয়েদের রাগমোচন বা সিক্ততা ঘটে। কোনো ছেলে যখন বয়সন্ধিকালে পৌঁছায় তখন তার বীর্য থলিতে বীর্য উৎপন্ন হয়। স্বপ্নদোষের মাধ্যমে ছেলেদের দেহের অতিরিক্ত বীর্য বেরিয়ে যায়। তাই এতে কোনো ক্ষতি হয় না। স্বপ্নদোষের সময় স্বপ্নের মধ্যে যৌনকার্যকক্রম দেখার মাধ্যমে স্বপ্নদোষ হতে পারে। শারীরিক অবস্থা ভেদে সপ্নদোষে বীর্যপাতের পরিমান আলাদা হতে পারে। মেয়েদের স্বপ্নদোষ হলে বীর্যপাত হয় না। তাই তাদের স্বপ্নদোষ হলে খুব সহজে বুঝতে পারে না।

আরও পড়ুন পাছা নরম করুন ও ভারী করুন ঘরে বসে,পাছা বড় করার উপায় এবং খাবার

স্বপ্নদোষ কেন হয়

এটা একটা স্বাভাবিক নিয়ম। স্বপ্নদোষ হলে কোনো প্রকার ক্ষতি নেই। স্বপ্নদোষের দ্বারা একজন মানুষ প্রজনন সক্ষম হয়ে বেড়ে উঠছে এটাকে বুঝানো হয়। বয়ঃসন্ধির মানুষের যৌন বৈশিষ্ট্যসমূহ বাড়ার ফলে স্বপ্নদোষ হয়। প্রতিটি মানুষের জীবনে স্বপ্নদোষ কম বেশি হতে পারে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বপ্নদোষ হওয়ার পরিমান কমতে থাকে। এগুলো ছাড়াও স্বপ্নদোষ হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে যেমন,

  • বয়সন্ধিকালে অতিরিক্ত যৌন হরমোনের কারণে হতে পারে।
  • অনেক বেশি যৌন বিষয়ক চিন্তা ভাবনা।
  • পর্ণগ্রাফি দেখা।
  • যৌনকার্যকক্রম বিষয়ক বই পড়া।
  • ঘুমানোর পূর্বে যৌন চিন্তা করা ইত্যাদি।
স্বপ্নদোষ কি

বয়সন্ধিকালে অনেকের স্বপ্নদোষ নাও হতে পারে। এতে চিন্তার কোনো কারণ নেই। নিয়মিত বা অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে স্বপ্নদোষের পরিমান কমে যেতে পারে। তবে যদি অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হয় তাহলে এটা সমস্যা। অতিরিক্ত সপ্নদোষ হলে দেহের ক্ষতি হয়। তাই দেরি না করে ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত। স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রিত স্বপ্নদোষ কোনো রোগ না তাই এর কোনো চিকিৎসা নেই।

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায়

ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। এবং ঘমানোর সময় প্রস্রাব করে ঘুমান। এতে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের পরিমান অনেকটা কমবে। ঘুমানোর পূর্বে কখনো যৌন চিন্তা বা যৌন বিষয়ক ধারণা করবেন না। যৌনবিষয়ক বই অথবা পর্ণগ্রাফি দেখা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। নিয়মিত ব্যায়াম বা হাটাহাটি এবং মিছরী খাওয়ার চেষ্টা করুন। নিজেকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করতে হবে। রাতে ঘুমানোর সময় টাইট জামা কাপড় পড়া থেকে বিরত থাকুন।

মেয়েদের স্বপ্নদোষ হলে করণীয়

স্বপ্নদোষ ছেলে মেয়ে উভয়ের হতে পারে। যদি স্বপ্নদোষ হয় এবং বীর্য নির্গত হয় তাহলে গোসল ফরজ। নিয়ম অনুযায়ী ফরজ গোসল করতে হবে। কিন্তু যদি স্বপ্নে বীর্যপাত না ঘটে তাহলে ফরজ গোসল করতে হবে না। স্বপ্নদোষ হলের মেয়েদের বীর্য পাতলা এবং হলদে হয়। স্বপ্নদোষের পরে পরিষ্কার পরিছন্ন থাকতে হবে। বেশি পরিমান পানি পান করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

স্বপ্নদোষ কি

স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায়

না। স্বপ্নদোষ হলে কখনো রোজা নষ্ট হয় না। অনেকেই মনে করেন স্বপ্নদোষ হলে রোজা নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু না স্বপ্নদোষ হলে রোজার কোনো সমস্যা হয় না। হাদিস অনুযায়ী ৩ কারণে রোজা নষ্ট হয় না। যেমন বমি করা, শিঙ্গা লাগানো, স্বপ্নদোষ, (মাজমাউয যাওয়ায়েদ তিরমিজি, মুসনাদে বাযযার, বাইহাকি)। তাই বলা যায় রোজা কালীন সময় স্বপ্নদোষ হলে রোজা নষ্ট হয়ে গেছে মনে করা উচিত নয়।

অন্য পোস্ট পড়ুন আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য

আমাদের শেষ কথা।

স্বপ্নদোষ হলো আমাদের একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। তাই স্বপ্নদোষ হলে ভয়ের কোনো কারণ নেই। শুধু নিজেকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখুন। প্রচুর পরিমান পানি পান করতে হবে সাথে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। কিন্তু অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হয়ে ডাক্তার দেখতে হবে। একজন মানুষের প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ বার স্বপ্নদোষ হলে সেটাকে স্বাভাবিক স্বপ্নদোষ বলা হয়। কিন্তু এর থেকে বেশি হলে সেটাকে অনিয়মিত বা অনিয়ন্ত্রিত স্বপ্নদোষ মনে করা করা হয়। স্বপ্নদোষ সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। যেহেতু স্বপ্নদোষ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তাই স্বপ্নদোষ স্বাভাবিক থাকা সময়ে এর কোনো চিকিৎসা নেই।